লালমনিরহাটে অগ্রহায়ণে জেঁকে বসেছে শীত। মৃদু শৈত্য প্রবাহের পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ছিল ১৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩০মিনিটের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতার কারণে অনেকে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে লালমনিরহাট এ মৌসুমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। লালমনিরহাটে ১৯ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছে। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা এলাকার কমল কান্তি বর্মন বলেন, কয়েক দিন ধরে ভীষণ শীত পড়ছে। তবুও তীব্র শীতের মধ্যে ঘর থেকে বের হয়ে সংসারিক কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র দিচ্ছে না।
লালমনিরহাট রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা কম। তীব্র শীতের কবলে পড়ে স্টেশনের আশপাশে আশ্রয় নেওয়া হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল মানুষদের থাকার বৈধতা না থাকায় অনেককে ইয়ার্ড ও রেললাইনের মধ্যে বসে তীব্র শীতে কাতর হতে দেখা গেছে।
কথা হয় মোগলহাট সড়কে মাটির কাজ করা শ্রমিকদের সঙ্গে। তারা বলেন, অনেক শীত! ঠান্ডায় আমাদের অবস্থা ভালো না। ঠান্ডার চোটে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদেরকে কম্বল দিলে উপকার হতো।
লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক সমমান) ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেম জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়তেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।